নিজস্ব প্রতিবেদক:
উখিয়ার ইনানীর নিদানিয়ায় অধিগ্রহণের আওতায় পড়া জমির লোভে পড়ে ৩৮ বছরের ভোগ দখলীয় মূল্যবান জমি দখলের পাঁয়তারার অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় ছৈয়দ আহমদ নামের এক ব্যক্তি ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করা হয়েছে ।
শনিবার কক্সবাজারের একটি হোটেল কক্ষে এক সংবাদ সম্মলনে স্থানীয় ছৈয়দ আলম গংয়ের পক্ষে ছৈয়দ আলম এই অভিযোগ করেছেন।

লিখিত বক্তব্যে ছৈয়দ আলম জানান, তিনি ১৯৮৩ সালে ছৈয়দ আহমদের কাছ থেকে ৭২৭৭নং রেজিঃ কবলামুলে ২.৬৪ একর জমি ক্রয় করেন ছৈয়দ আলম গং। পরে উখিয়া ভুমি অফিসে নামজারী মোকদ্দমা নং- ৮২/০৩-০৪ইং মামলা রুজু করেন। অতপর বিগত ১৬/০৩/২০০৪ইং হাজী ছৈয়দ আলম, পিতা- হাজী আজিজুর রহমানকে ২.৪৪ একর জমি লিপি পূর্বক নামজারী জমাখারিজ খতিয়ান নং- ২২৯৭ সৃজন করা হয়। হাজী ছৈয়দ আলম ১৪২৭ বাংলা পর্যন্ত খাজনা আদায় করে আসছেন। হাজী ছৈয়দ আলম ক্রয় স্বত্ব দখলীয় বি.এস ৩৪৪২ দাগ থেকে ৯৯ শতক জমি সরকার বাংলাদেশ কোষ্ট গার্ড ইনানী প্রকল্পের জন্য উক্ত জমি অধিগ্রহণ করেন এবং যথারীতি হাজী ছৈয়দ আলমের নামে ভুমি অধিগ্রহণ শাখা কক্সবাজার কার্যালয় থেকে যথারীতি ৪,৭,৮ ধারার নোটিশ প্রদান করা হয়।

ছৈয়দ আলম অভিযোগ করে বলেন, অধিগ্রহণের পড়ার খবর পেয়ে ৩৮ বছর পর ওই জমির লোলুপ দৃষ্টি দেন ছৈয়দ আহামদ ও তার গং। হাস্যকরভাবে এতদিন পর তারা জমিটি তাদের দাবি করছেন। যাতে হাজী ছৈয়দ আলম টাকা উত্তোলন করতে না পারেন। এটি এক ধরণের জঘন্য চাঁদাবাজি, অধিকন্তু ছৈয়দ আহমদ ও সালাহ উদ্দিন গং আরও হুমকি প্রদান করেন। ভুমি অধিগ্রহণ শাখার ক্ষতিপুরণের টাকা থেকে তাদেরকে টাকা প্রদান না করলে বিভিন্ন ফৌজদারী মামলা দায়ের করিয়া হাজী ছৈয়দ আলমকে হয়রানী করবে এবং উক্ত দায়েরকৃত মামলার অনুকুলে সন্ত্রাসী বাহিনী কর্তৃক জমি দখলের জঘন্য পাঁয়তারা করছে।

হাজী ছৈয়দ আলম ইতিপূর্বে লা-বেলা রিসোর্টকে ১.২০ একর জমি বিক্রয় করেছেন। হোটেল মোটেল জোনে ইনানীস্থ লা-বেলা রিসোর্ট খুবই পরিচিত এবং দীর্ঘ প্রায় ১২ বৎসর ধরে ব্যবসা করে আসছেন। ইতিমধ্যে লা-বেলা রিসোর্টের ষ্টাফ কোয়ার্টার ভাংচুর করিয়া মালামাল লুট করে এবং দখলের জন্য চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।

ছৈয়দ আহামদ গংয়ের অপচেষ্টা বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ছৈয়দ আলম গং।